কিভাবে কাঠের ফার্নিচার তৈরী ব্যবসা শুরু করবেন

কাঠের ফার্নিচার তৈরী ব্যবসা

কিভাবে কাঠের ফার্নিচার তৈরী ব্যবসা শুরু করবেন

কিভাবে কাঠের ফার্নিচার তৈরী ব্যবসা শুরু করবেন

লাভজনক ব্যবসা হিসাবে কাঠের ফার্নিচার তৈরী ব্যবসা শুরু করতে পারেন। সভ্যতার আধুনিকায়নের সাথে সংগতি রেখে প্রতিনিয়তই পরিবর্তন ঘটেছে মানুষের অভ্যাস ও রুচিবোধের। ঠিক তেমনি মানুষ এখন অত্যাধুনিক গৃহ তৈরীর পাশাপাশি গৃহ সুন্দর ও মনোরম ভাবে সাজাতে কাঠের তৈরী ফার্নিচারের প্রতি বেশি আগ্রহী। টেকসই গঠন, দেখতে আর্কষণীয় এবং উজ্জল বর্ণের কাঠের ফার্নিচার দ্বারা গৃহ সাজালে তা সকলের নিকট সমাদৃত হয়ে থাকে।

নিজেকে একজন স্বাবলম্বী ব্যবসায়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য এটি হতে পারে সময়োপযোগী ও যুগান্তকারী একটি ব্যবসার ধারণা। অথচ এই ব্যবসাটি শুরু করতে মাঝারী মানের একটি পুজিঁ বিনিয়োগ করলেই যথেষ্ট। এই ব্যবসাটি পরিচালনা করাও অত্যন্ত সহজ।

কাঠের ফার্নিচার তৈরী ব্যবসা আসবাবপত্র

শো-পিস, আলমারী, চেয়ার, টেবিল ইত্যাদি তৈরী করা যায়। এমনকি শৌখিন পন্য, ঘরের দরজা, জানালা ইত্যাদি তৈরী করেও এই ব্যবসাটি পরিচালনা করা যেতে পারে। এটি একটি নিশ্চিত বিনিয়োগধর্মী ব্যবসার ধারণা। এই ব্যবসায় তেমন কোন ঝুকিঁ নেই। ক্রেতার চাহিদা অনুসারে উন্নত কাঠ দিয়ে আসবাবপত্র তৈরী করতে হবে। ভালো মানের বার্নিশ এবং ডিজাইন এক্ষেত্রে জরুরী ভূমিকা রাখতে পারে। বাজারজাদ করন ও রক্ষণাবেক্ষণ সম্পর্কে ধারণা থাকলেই এই ব্যবসায় ভালো করার সম্ভাবনা রয়েছে। সততা ও আত্নবিশ্বাসী যে কোন উদ্যোক্তা এই ব্যবসায় সফল হতে পারেন। 

কাঠের ফার্নিচার তৈরী ব্যবসা কোথায় শুরু করবেন

জনবসতী পূর্ণ এলাকা এই ব্যবসার জন্য সব থেকে উপযোগী। নিকটস্থ বাজারে একটি বড় দোকান নিয়ে এই ব্যবসাটি শুরু করতে হবে। দোকানটি রাস্তার নিকটবর্তী স্থানে যেখানে সহজেই গ্রাহকদের চোখে পড়বে এমন স্থানে হলে ভালো হয়।

সম্ভাব্য পুজিঁ কত লাগতে পারেঃ  কাঠের ফার্নিচার তৈরী ব্যবসা শুরু করতে আনুমানিক ৮ লক্ষ টাকা থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পুজিঁ বিনিয়োগ করতে হবে।

কিভাবে কাঠের ফার্নিচার তৈরী ব্যবসা করা শুরু করবেন

কাঠের ফার্নিচার তৈরী করার জন্য প্রথমেই প্রয়োজন অনুযায়ী মেশিনের সাহায্যে কাঠ কেটে নিতে হবে। তাছাড়া কাঠ কাটার জন্য আলাদা কারখানাও গড়ে উঠেছে। কাটা কাঠ দিয়ে বিভিন্ন আসবাবপত্র যেমন; খাট, ডাইনিং টেবিল, ড্রেসিং টেবিল, টেবিল, চেয়ার ইত্যাদি তৈরী করতে হবে। তারপর গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী বার্নিশ ও রঙ করতে হবে। তারপর ফার্নিচার গুলো বাজারজাত করনের জন্য প্রস্তুত করা হয়। ফার্নিচার তৈরী করার জন্য দক্ষ মিস্ত্রি নিয়োগ করতে হবে। এই ভাবে এই ব্যবসাটি পরিচালনা করতে হবে। বিস্তারিত জেনেই এই ব্যবসায় নামতে হবে। ব্যবসাটি একটু ধীর গতির ব্যবসা কিন্তু ভাল লাভ করা যায়।

গ্রাহক: সকল পেশার ও শ্রেণীর মানুষই এই ব্যবসার ভোক্তা হয়ে থাকেন। তবে রুচীশীল ফার্নিচার বানাতে পারলে ক্রেতার অভাব হবে না।

যোগ্যতা: এই ব্যবসাটি শুরু করার জন্য উদ্যোক্তাদের তেমন কোন যোগ্যতার দরকার হয় না। তবে অব্যশই দক্ষ মিস্ত্রি নিয়োগ করতে হবে। অন্যদিকে কিভাবে বেশী গ্রাহক পাওয়া যায় সেই দিক বিবেচনা করতে হবে। অনলাইন বিজ্ঞাপন এর মাধ্যমে অনেক বেশী গ্রাহকের কাছে আপনার পণ্য পৌছাতে পারেন।

আয় কেমন হতে পারে: কাঠের ফার্নিচার বিক্রি করে শতকরা ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত আয় করা যায়।