আয় বৃদ্ধি মূলক প্রকল্প ও এর প্রভাব

আয় বৃদ্ধি মূলক প্রকল্প ও এর প্রভাব

আয় বৃদ্ধি মূলক প্রকল্প ও এর প্রভাব

আয় বৃদ্ধি মূলক প্রকল্প ও এর প্রভাব

প্রকল্প হালো কাজ। যে কাজের মাধ্যমে মানুষের কল্যাণ ও উন্নতি সাধিত হয়। আয় বৃদ্ধি মূলক প্রকল্প বা কর্মকান্ড হলো নিকৃষ্ট কাজের মাধ্যমে ব্যক্তি তথা সমষ্টির অর্থনীতি ও পরিবারের প্রতি এর প্রভাব। যার ফলে প্রকল্পে কতটুকু উপকৃত অথবা ক্ষতি হচ্ছে তারই বিশ্লেষণ। আয় বৃদ্ধি প্রকল্প মানুষের জীবন যাত্রার মান ও সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধির হাতিয়ার। পাশাপাশি কোন কোন প্রকল্প কখনো কখনো পরিবেশ দুষণ ও বৈষম্য সৃষ্টির কারণ।

উন্নয়ন বা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে আয়বৃদ্ধি মূলক প্রকল্প বা প্রকল্পে উৎপাদিত পণ্যের সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা থাকা। প্রকল্পে লাভ ক্ষতি বা এর ইতিবাচক নেতিবাচক দিক নিয়ে সংক্ষেপে আলোচিত হলো।

সামাজিক দিক

যে কোন ধরনের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে উৎপাদনশীল সম্পদ ব্যবহার ও নিয়ন্ত্রনের সুযোগ সৃষ্টি হয়। সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধির সাথে সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্টি সংগঠিত হওয়ার সুযোগ পায়। ফলে সরকারী সম্পদ যেমন: খাসজমি, পুকুর, জলাশয় লিজ নিয়ে চাষাবাদের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নতি সাধিত হয়।

পুরুষের সাথে সাথে মহিলারা সমভাবে সামাজিক অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে। সম্ভাবনা বাড়ে নতুন নতুন মহিলা উদ্দোক্তা তৈরীর। এমন কোন আয় বৃদ্ধি মূলক প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন যথার্থ নয় যাহা সামাজিক অবক্ষয় ডেকে আনতে পারে। যেমন:- মদ, গাঁজা বা অন্যান্য নেশা জাতীয় দ্রব্য সামগ্রী।

অর্থনৈতিক দিক

পারিবারিক কর্মসংস্থান ও অর্থ প্রাপ্তি আয়বৃদ্ধিমূলক প্রকল্পের মাধ্যমে হয়ে থাকে। এতে পরিবারে পাশাপাশি সমাজ উপকৃত হয়। নতুন নতুন আয় বৃদ্ধির সাথে উৎপাদিত পণ্য সামগ্রী সমাজের চাহিদা মিটাতে সহায়ক হয়।

স্বাস্থ্য ও পরিবেশগত দিক

স্বাস্থ্য ও পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্থ করে এমন কোন আয় বৃদ্ধিমূলক কর্মকান্ড গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকা যেমন:- ইটের ভাটা, জ্বালানী কাঠের ব্যবসা, তামাক-বিড়ি ফ্যাক্টরী ইত্যাদি। যাহা বায়ু দূষণ এবং প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট করে। যে সকল প্রকল্পে আর্থিক লাভজনকতা আছে কিন্তু পরিবেশও স্বাস্থ্য গত ঝুঁকি থাকে। সেই সকল প্রকল্পের নেতিবাচক দিক সমূহ বিবেচনায় নেয়া। বৃক্ষ নিধন জ্বালানী কাঠের ব্যবসাকে প্রভাবিত করে। বৃক্ষ উজাড়ের ফলে পরিবেশের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে।