অংশীদারি বা পার্টনারশীপ ব্যবসা ব্যর্থ হওয়ার ৪টি প্রধান কারণ

অংশীদারি বা পার্টনারশীপ ব্যবসা ব্যর্থ হওয়ার ৪টি প্রধান কারণ

পার্টনারশীপ ব্যবসা ব্যর্থ হওয়ার ৪টি প্রধান কারণ

পার্টনারশীপ ব্যবসা ব্যর্থ হওয়ার ৪টি প্রধান কারণ

পার্টনারশীপ ব্যবসা শুরু করা সহজ তবে ধরে রাখা কঠিন। অংশীদারি বা পার্টনারশীপ ব্যবসা এর অনেক ভালো দিক বা সুবিধা আছে। যেমন, পার্টনারশীপে ব্যবসা করলে মূলধন কম লাগে, সহজে শুরু করা যায়, সকল ঝুঁকি সমানভাবে ভাগ করা থাকে ইত্যাদি।

তবে পার্টনারশীপ ব্যবসা যেসব কারনে ব্যর্থ হতে পারে কিংবা ব্যর্থ হয় যেই সকল কারনকে আমলে নিয়েই পার্টনারশীপ ব্যবসা শুরু করা উচিত।

আসুন জেনে নিন অংশীদারি বা পার্টনারশীপ ব্যবসা ব্যর্থ হওয়ার ৪টি প্রধান কারণ।

#১। চুক্তি না করা কিংবা চুক্তির মধ্যে কোনো ফাঁক রেখে দেওয়া

পার্টনারশীপ ব্যবসায় প্রথম যেই ভুলটি হয় তা হলো মৌখিক চুক্তি করা।

ধরুন ৩ বন্ধু মিলে একটা ব্যবসা শুরু করেছেন, সবাই সমান টাকা বিনিয়োগ করেছেন, ব্যবসা মোটামুটি ভালো চলছে, এর অবস্থায় একজন বন্ধু মনস্থির করলো যে সে আর ব্যবসা করবে না।

এই অবস্থায় আপনার করনীয় কি, তাকে কিভাবে ব্যবসা থেকে বের করবেন, বা তার বিনিয়োগকৃত টাকা ফেরত নেওয়ার বিষয়ে করনীয় কি?

এই পরিস্থিতি অনেক সময় মারাত্মক জটিল হয়ে উঠতে পারে।

এই অবস্থায় আপনার ব্যবসায় যদি একটি লিখিত চুক্তি থাকতো তবে সেখানে এই বিষয়গুলো বিস্তারিত উল্লেখ্য থাকতো এবং সবাই এই চুক্তি মোতাবেক কাজ করত।

ফলে ঝামেলা এড়িয়ে ব্যবসায় মনোনিবেশ করা যেত।  তাই যে কোন ব্যবসা পার্টনারশীপে করতে চাইলে একটি লিখিত চুক্তি থাকতেই হবে।

#২। একই রকম ক্ষুধা না থাকা

আবার ঐ একই উদাহরণ দিচ্ছি। ৩ বন্ধু মিলে একটা ব্যবসা শুরু করেছেন, প্রথমে সবাই আগ্রহ নিয়ে কাজ করেছেন, ব্যবসাটি মোটামুটি চলছে, কাজের চাপও বেড়েছে।

এই পরিস্থিতিতে আপনি খেয়াল করলেন কোন এক পার্টনার আর আগের মত শ্রম দিচ্ছে না এবং ব্যবসার প্রতি তার খেয়াল নেই।  হয়ত তার অন্য ইনকাম মাধ্যম আছে, কিংবা অন্য ব্যবসায় নিজেকে জড়িয়েছে তাই এই ব্যবসার প্রতি তার মন নেই।

এই রকম পার্টনার অনেক সময় পার্টনারশীপ ব্যবসাকে ব্যর্থ করে দিতে পারে।

তাই যখন আপনি একজনকে বিজনেস পার্টনার হিসাবে নির্বাচন করবেন তখন তার মধ্যে আপনার মত একই রকম ক্ষুধা আছে, ব্যবসাটিকে বড় করতে চাওয়ার মনোভাব আছে কিনা তা দেখে দিতে হবে।

#৩। বিশ্বাসের ঘাটতি

পার্টনারদের মধ্যে যদি বিশ্বাসের ঘাটতি থাকে তবে কোন চুক্তি কখনোই কাজে দিবে না।

কেননা একজন পার্টনার হিসাবে সারাক্ষন অন্য পার্টনারের কার্যক্রম খতিয়ে দেখার সুযোগ থাকে না। তাই ব্যবসা শুরু করার আগে পার্টনারদের মধ্যে বিশ্বাসের ঘাটতি থাকা যাবে না।

#৪। একই পরিমান টাকা বিনিয়োগ না করা

এই বিষয়টা খুবই জটিল। ধরুন ৩ বন্ধু মিলে একটা ব্যবসা শুরু করেছেন। ব্যবসার জন্য আপনাদের মোট বাজেট ৬ লাখ টাকা।

এর মানে হচ্ছে সবার ভাগে ২ লাখ টাকা করে পরবে। আপনার কাছে টাকা আছে আপনি ২ লাখ টাকা দিলেন, অন্য আরেকজন পার্টনার ২ লাখ দিল, কিন্তু ৩য় পার্টনারের কাছে টাকা নেই, সে বললো টাকা দিতে পারবে না কিন্তু শ্রম দিতে পারবে।

আরো পড়ুন – পার্টনারশীপ ব্যবসায় সুবিধা ও অসুবিধা

এই পরিস্থিতিতে ব্যবসাটি শুরু করার উত্তেজনায় আপনারা ২ পার্টনার তার টাকা দিয়ে দিলেন। এর ফলে এই অংশীদারি ব্যবসাটি ব্যর্থ হতে পারে।

যেই পার্টনার টাকা দেয় নাই সে লাভের কত পারসেন্ট পাবে, সে কি পরিমান কাজ করবে, পরবর্তীতে টাকা দিবে কিনা ইত্যাদি নানা বিষয় নিয়ে পার্টনারদের মধ্যে সমস্যা সৃষ্টি হয়।

তাই সফলতা পেতে চাইলে নিশ্চিত করতে হবে যে সকল পার্টনার একই পরিমান টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করেছে, ফলে এতে সবার মধ্যে দায়িত্ববোধ কাজ করবে।